spondylitis বা বাতের এর লক্ষণ

অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস (Ankylosing spondylitis)


বর্ণনা

অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের ইনফ্লামেটরি ডিজিজ। ৩৩ টি অস্থিখণ্ড নিয়ে মেরুদণ্ড গঠিত। প্রত্যেকটি অস্থিখণ্ডকে কশেরুকা বা ভার্টিব্রা (Vertebrae) বলে। আন্তঃকশেরুকীয় চাকতির সাহায্যে প্রত্যেকটি কশেরুকা একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। কিন্তু মেরুদণ্ডে ইনফ্লামেশনের কারণে প্রত্যেকটি কশেরুকা একে অপরের সাথে লেগে বা আটকে যায়, যা পাঁজরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই অবস্থায়ে একজন ব্যক্তি সামনে, পিছনে, ডানে, বায়ে নড়াচড়া করতে পারে না। এর সাথে শ্বাসকষ্টও হয়ে থাকে। এই রোগের লক্ষণগুলো সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে দেখা দিতে শুরু করে। এই রোগের প্রতিকার এখনো আবিষ্কৃত হয়নি, তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের লক্ষণ ও ব্যথা কমানো সম্ভব।

কারণ

এই রোগের সঠিক কারণ এখনও জানা যায় নি, তবে মনে করা হয় বংশ বা জীনগত কারণেই এই রোগটি হয়ে থাকে। আবার ইনফেকশনের কারণেও এটি হতে পারে। ইনফেকশনকে প্রতিরোধ করার জন্য দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কিছু রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন করে যার প্রভাবে মেরুদণ্ডে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। যে সকল ব্যক্তির কোষে HLA B27 নামক মলিকিউল থাকে, তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এই মলিকিউল বংশ পরম্পরায় মা-বাবা থেকে সন্তানের মধ্যে আসে। 

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন: 

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে সব বিষয়ের কারণে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়: 
  • মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • বয়ঃসন্ধিকালের শেষদিকে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • যে সকল ব্যক্তির কোষে HLA B27 নামক মলিকিউল থাকে, তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক ও অন্যান্যদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা


(ক) উত্তরঃ এই রোগ বা এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য রোগ যেমন বাতরোগ, নির্দিষ্ট কিছু অটোইমিউন ডিজিজ, মাস্কুলোস্কেলেটাল পেইন ডিজঅর্ডার এবং অস্টিওপরোসিসে আক্রান্ত হলে রিউম্যাটোলজিস্ট, ফিজিকাল থেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। 

হেলথ টিপস্‌

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপর ধূমপান অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব ফেলে। এই রোগ গুরুতর পর্যায়ে চলে গেলে পাঁজরে বিভিন্ন ত্রুটি দেখা যায়। আবার ধুমপানের কারণে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার কারণে শ্বাসকষ্ট হয়। তাই এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ধূমপান ছেড়ে দেওয়া উচিৎ।

শেয়ার করুন


Popular posts from this blog

ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ (Intracerebral hemorrhage)

What is dementia ? Signs, Symptoms, Causes, Tests, Treatment, Care

Anxiety and panic attacks