ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ (Intracerebral hemorrhage)

ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ (Intracerebral hemorrhage)


বর্ণনা

ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ রোগটি সেরিব্রাল হেমোরেজ, ব্রেইন ব্লিডিং এবং ব্রেইন হেমোরেজ নামেও পরিচিত।
যখন মস্তিষ্কের ভিতরের রোগাক্রান্ত ব্লাড ভ্যাসেল (রক্ত ধমনী) ফেটে যায় এবং এর ফলে মস্তিষ্কের ভিতরে রক্তক্ষরণ হয় তখন ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ দেখা দেয়। মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে হঠাৎ করে চাপ বৃদ্ধি পেলে মস্তিষ্কে অবস্থিত রক্তের আশেপাশের ব্রেন সেল গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যদি রক্তের পরিমান দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে তাহলে মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যায় এমনকি ব্যক্তির মৃত্যুও ঘটতে পারে। ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু অংশ যেমনঃ ব্যাজাল গ্যাংলিয়া, সেরেবেলাম, ব্রেইন স্টেম অথবা কর্টেক্সে দেখা দেয়।  

কারণ

যখন ক্রনিক হাই ব্লাড প্রেসার বা রক্ত চাপের কারণে ছোট আর্টারি (ধমনী) দূর্বল হয়ে পরে এবং ফেটে যায় তখন ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ হয়ে থাকে। কোকেন বা অ্যামফিটামিন্স ব্যবহারের কারণে উচ্চ রক্তচাপ এবং হেমোরেজ দেখা দেয়। এই ধরনের উচ্চ রক্তচাপ খুব অল্প সময় স্থায়ী হয়। কিছু কিছু বৃদ্ধ ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের আর্টারি গুলোতে অস্বাভাবিক প্রোটিন (এটি অ্যামাইলয়েড নামে পরিচিত) জমা হতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে অ্যামাইলয়েড অ্যানজিওপ্যাথি বলে। অস্বাভাবিক প্রোটিন জমা হওয়ার ফলে আর্টারি গুলো দূর্বল হয়ে পরে এবং হেমোরেজ দেখা দেয়।
এই রোগের অন্যান্য কারণ গুলো হলো ব্লাড ভ্যাসেলের অস্বাভাবিকতা, আঘাত, টিউমার, ভ্যাসকুলাইটিস, ব্লিডিং ডিজঅর্ডার এবং অতিমাত্রায় অ্যান্টিকোয়াগুলেন্টসের ব্যবহার। ব্লিডিং ডিজঅর্ডার এবং অতিমাত্রায় অ্যান্টিকোয়াগুলেন্টস ব্যবহারের কারণে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন: 

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এই রোগের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় গুলো নিচে দেওয়া হলো।
  • প্ল্যাসেন্টাল ব্লাড ক্লোট
  • দূর্বল ব্লাড ভ্যাসেল
  •  জমাট বদ্ধ রক্ত
  • হাইপারটেনশন
  • সন্তান প্রসবের সময় ইনফেকশন
  • পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ
  • স্যাকেন বেবি সিন্ড্রম
  • মাথায় আঘাত লাগা

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। 
জাতিঃ শেতাঙ্গ এবং হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গ এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। 

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

Fever

Raynaud's disease