Anemia due to chronic kidney disease -কিডনির রোগজনিত রক্তসল্পতা

কিডনির রোগজনিত রক্তসল্পতা (Anemia due to chronic kidney disease)


বর্ণনা

ক্রনিক কিডনী ডিজিজের কারণে রক্তসল্পতা দেখা দেয়। ক্রনিক কিডনী ডিজিজের ফলে কিডনীর কার্যক্ষমতা সম্পূর্ন বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যক্তির কিডনীর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা যখন ২০ থেকে ৫০ শতাংশ থাকে তখন রক্তসল্পতা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে রক্তসল্পতা বাড়তে থাকে। যাদের কিডনীর কার্যক্ষমতা সম্পূর্নভাবে নষ্ট হয়ে গেছে তাদের অধিকাংশরই রক্তসল্পতা দেখা দেয়। ব্যক্তির কিডনীর কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট/প্রতিস্থাপন অথবা ডায়ালিসিসের প্রয়োজন দেখা দেয়। ডায়ালিসিস দুই প্রকার হেমোডায়ালিসিস ও পেরিটনিয়াল ডায়ালিসিস। হেমোডায়ালিসিস পদ্ধতিতে ঔষধ ব্যবহার করে ব্যক্তির রক্ত শরীরের বাইরে এনে ফিল্টার করার মাধ্যমে পরিশোধন করা হয়। পেরিটনিয়াল ডায়ালিসিস পদ্ধতিতে পেটের গাত্রের সাহায্যে শরীরের অভ্যন্তরে রক্ত ফিল্টার করা হয়।                                                                                                                                                                                                                                               

কারণ

যখন কিডনী ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন এটি পর্যাপ্ত পরিমানে ইপিও উৎপাদন করতে পারে না। যার ফলে অস্থিমজ্জায় লাল রক্তকণিকার পরিমান কমে যায় এবং যার কারণে রক্তসল্পতা দেখা দেয়। যখন রক্তে লাল রক্তকণিকার পরিমান কমে যায় তখন শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরাবরাহ ব্যাহত হয়।                                                                                              
হেমোডায়ালিসিস পদ্ধতিতে চিকিৎসার সময় রক্তক্ষরনের কারণে কিডনী রোগজনিত রক্তসল্পতা দেখা দেয়। খাবারে নিম্নলিখিত উপাদানের অভাবের ফলেও এই সমস্যা হয়ে থাকে। যেমনঃ
  • আয়রন 
  • ভিটামিন বি১২
  • ফলিক এসিড                                                           
এই পুষ্টি সম্মৃদ্ধ খাবার লাল রক্তকণিকা গুলোকে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে। হিমোগ্লোবিন হলো লোহত রক্তকোষের প্রধান অক্সিজেনবাহী প্রোটিন।
অন্যান্য কারণেও এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
  •  অস্থি মজ্জায় অন্যান্য সমস্যা
  •  ইনফ্লামেটরি/প্রদাহজনিত সমস্যা যেমনঃ আর্থ্রাইটিস, লুইপাস অথবা ইনফ্লামেটরি বায়েল ডিজিজ। এই সমস্যাগুলোর কারণে শরীরের ইমিউন সিস্টেম/রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে শরীরের সেল/কোষ এবং বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
  • ক্রনিক ইনফেকশন যেমনঃ ডায়াবেটিক আলসার
  • অপুষ্টি

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন: 

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

কিডনী রোগ জনিত রক্তসল্পতার ঝুকিপূর্ণ বিষয়গুলো নিন্মে দেওয়া হলোঃ
  •  ডায়বেটিস
  • উচ্চ রক্তচাপ
  • হৃদরোগ
  • ধুমপান
  • স্থুলতা
  • উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল
  • পরিবারে কারো কিডনী রোগ থাকলে
  • যাদের বয়স ৬৫ বছর অথবা তারও বেশি তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।                                                                             

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের এবং মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ শেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম, হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২ গুণ কম এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ অ্যানিমিয়া বা রক্তসল্পতা এমন একটি রোগ যার কারণে শরীরে লৌহিত রক্তকণিকা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। লৌহিত রক্তকণিকা টিস্যু এবং বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করে। এর ফলে খাবার থেকে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা টিস্যু এবং বিভিন্ন অঙ্গ গ্রহন করতে পারে। রক্তসল্পতার কারণে লৌহিত রক্তকণিকা বিভিন্ন টিস্যু এবং অঙ্গ বিশেষ করে হৃৎপিন্ড এবং মস্তিস্কে স্বাভাবিকভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে না। এর ফলে ঐ সমস্ত টিস্যু এবং অঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।                                                                                                                                           

হেলথ টিপস্‌

ধুমপান এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে এই সমস্যার তীব্রতা কমানো সম্ভব।

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

Fever

Raynaud's disease