Iron deficiency anemia - লৌহের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা

 Iron deficiency anemia - লৌহের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা !


বর্ণনা

রোগটি ফেরোপেনিক এনিমিয়া (Ferropenic Anemia) নামেও পরিচিত।
লোহিত রক্ত কণিকার কাজ হলো দেহের টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ করা। রক্তে লোহিত কণিকার অভাব হলে লৌহের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা দেখা যায়।
আয়রনের অভাবে এই রক্তস্বল্পতা হয়ে থাকে। পরিমিত আয়রনের অভাবে দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদন করতে পারে না। এর কারণে দেহে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে ক্লান্তিবোধ ও শ্বাসকষ্ট হয়।

কারণ

দেহে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য আয়রনের অভাব থাকলে লৌহের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা দেখা যায়। হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্ত কণিকার একটি উপাদান, যার উপস্থিতির জন্য রক্তের বর্ণ গাঢ় লাল হয়। এটি লোহিত রক্ত কণিকাকে দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। পরিমিত আয়রনের অভাব হলে দেহ পর্যাপ্ত পরিমাণে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন করতে পারে না এবং আয়রনের অভাবে ধীরে ধীরে রক্তস্বল্পতা দেখা যায়।
এই রোগের কারণ গুলো হলো:
  • যে সব মহিলার ঋতুস্রাবের সময় রক্তক্ষরণ বেশি হয়, তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। কারণ লোহিত রক্ত কণিকায় আয়রন থাকে, যা মাসিকের রক্তক্ষরণের সাথে সাথে দেহ থেকে বের হয়ে যায়। এছাড়াও যারা বিভিন্ন রোগ যেমন পেপটিক আলসার (Peptic ulcer), হায়াটাল হার্ণিয়া (Hiatal hernia), কোলন পলিপ (Colon polyp) বা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে (Colorectal cancer) আক্রান্ত তাদেরও এ ধরনের রক্তস্বল্পতা হতে পারে।
  • দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ কম থাকলে এই রোগ হতে পারে।
  • ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিতরে খাবারের আয়রন রক্তপ্রবাহ দ্বারা শোষিত হয়। ক্ষুদ্রান্ত্রের সমস্যা যেমন সিলিয়াক ডিজিজের কারণে ক্ষুদ্রান্ত্রের পরিপাককৃত খাবার থেকে পুষ্টি শোষণের ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে রক্তস্বল্পতা হয়।
  • গর্ভবতী মহিলাদের দেহে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায় কারণ এ অবস্থায় তাদের নিজেদের ও ভ্রূণের উভয়ের আয়রনের চাহিদা মেটাতে হয়।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন

চিকিৎসা

 চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:  
carbonyl ironferrous sulphate
iron dextran

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে: 
  • মহিলাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কারণ মাসিকের সময় মহিলাদের শরীর থেকে যথেষ্ট পরিমাণে রক্ত বের হয়ে যায়।
  • যে সকল শিশুর ওজন জন্মের সময় কম থাকে, যারা অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে ও যারা মায়ের বুকের দুধ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন পায় না তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাড়ন্ত শিশুদের জন্য অতিরিক্ত আয়রনের প্রয়োজন। যদি আপনার শিশু নিয়মিত বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার না পায়, তবে তার এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।
  • যারা শুধু নিরামিষ জাতীয় খাবার খায় তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • যারা খুব ঘন ঘন রক্ত দেয় তাদের এই রোগ হতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতিঃ হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ হিমোগ্লোবিনে উপস্থিত যে আয়রন শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে তাকে ফাংশনাল আয়রন বলে। ইনফেকশন বা কোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রার উপর লক্ষ্য রেখে অনেকেই লৌহের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা ও কোনো ক্রনিক রোগের কারণে যে রক্তস্বল্পতা হয় তাকে একই মনে করেন। এজন্য তারা আয়রন পিল খেয়ে থাকেন যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়:
  • যে সব খাবারে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে যেমন গরু ও মুরগির মাংস, সীম, সবুজ শাক-সবজি যেমন পালং শাক, ড্রাইড ফ্রুট যেমন কিসমিস, এপ্রিকট, আয়রন ফরটিফাইড সিরিয়াল, রুটি, পাস্তা, মটরশুঁটি প্রভৃতি খেতে হবে।
  • ভিটামিন সি দেহে আয়রন শোষণে সহায়তা করে, তাই এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলালেবুর রস, ব্রোকোলি, আঙ্গুর, কিউয়ি, সবুজ শাক, তরমুজ, কমলালেবু, স্ট্রবেরী, টমেটো ও কাঁচা মরিচ ইত্যাদি খেতে হবে।
  • eHealth,Health,HealthCare, Health Care

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

Fever

Raynaud's disease