বিনাইন প্যারোক্সিজমাল পজিশনাল ভার্টিগো (Benign paroxysmal positional vertigo)

বিনাইন প্যারোক্সিজমাল পজিশনাল ভার্টিগো (বি-পি-পি-ভি) (Benign paroxysmal positional vertigo (BPPV))


বর্ণনা

বিনাইন প্যারোক্সিজমাল পজিশনাল ভার্টাইগো (বি-পি-পি-ভি) হল ভার্টাইগো বা মাথা ঝিমঝিমানি, মাথার ভিতর শূণ্যতা বা পারিপার্শ্বিক পৃথিবী ঘুরছে বলে মনে হওয়া- এর পরিচিত লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি।
এই অবস্থায় মাথা তীব্র বা মৃদু ভাবে ঝিমঝিম করে বা ঘোরায়। হঠাৎ করে মাথা উপর-নিচ করলে, শুয়ে পড়লে, মাথার কাত ঘোরালে বা বিছানায় বসলে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এমতাবস্থায় ব্যক্তি হাঁটাচলা বা দাঁড়িয়ে থাকার সময়ও ভারসাম্যহীনতায় ভোগে।
যদিও এটা একটি অস্বস্তিকর সমস্যা, কিন্তু এর কারণে ব্যক্তির মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।

কারণ

অন্তঃকর্ণের বিভিন্ন সমস্যার কারণে বি-পি-পি-ভি হয়ে থাকে। সাধারণত অন্তঃকর্ণের ভিতরে ক্যালসিয়াম স্টোন থাকে, এটি ব্যক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যখন মাথা নড়ানো হয় বা দাঁড়ানো হয়, তখন এই স্টোন এক পাশ থেকে অন্যপাশে যায়। কিন্তু ইনফেকশন না ইনফ্লামেশনের হলে এই স্টোন স্বাভাবিকভাবে নড়তে পারে না, এর ফলে মস্তিষ্ক ভূল সংকেত পায়, যার কারণেই মাথা ঘুরাতে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ, কানের অপারেশনের কারণে অন্তঃকর্ণের ক্ষতি হলে বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে মাথা ঘুরাতে পারে। এর সাথে সাথে মাইগ্রেনের সমস্যাও হয়ে থাকে। 

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন: 

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে সকল বিষয়ের কারণে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়ঃ
  • বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।
  • দীর্ঘদিন ধরে কানের ইনফেকশন থাকা।
  • মহিলাদের ক্ষেত্রে।
  • দীর্ঘদিন ধরে শুয়ে থাকা বা অধিকাংশ সময়ে এক কাতেই ঘুমানো।
  • বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাইগ্রেইন, মাথা ব্যথা, মিনিয়ার ডিজিজ।
  • মাথায় বা ঘাড়ে কোন ধরনের ইনজুরি বা আঘাত পাওয়া।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।  

সাধারণ জিজ্ঞাসা



উত্তরঃ এই সমস্যার কারণে ব্যক্তির মৃত্যু হয় না, তবে এর লক্ষণের কারণে ব্যক্তি অস্বস্তিবোধ করে ও ভয় পায়। 

হেলথ টিপস্‌

এই সমস্যার সাথে যদি ব্যক্তির মাথা ঘুরায়, তবে এই নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবেঃ
  • চলাফেরার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
  • মাথা ঝিমঝিম করলে দুর্ঘটনা এড়াতে সঙ্গে সঙ্গে বসে বা শুয়ে পড়তে হবে।
  • অন্ধকারে চলাফেরা করা যাবে না।
  • পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলে ছড়ি নিয়ে চলাফেরা করতে হবে।
  • নিয়মিত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
থেরাপি সফল হওয়ার পরেও এই রোগ হতে পারে। এর কোন প্রতিকার নেই, তবে ফিজিকাল থেরাপি এবং ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমেই এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

Fever

Raynaud's disease