Heart failure - হার্ট ফেইলিয়র

হার্ট ফেইলিয়র (Heart failure)


বর্ণনা

হৃৎপিন্ডের কাজ রক্ত পাম্প করে পুরো শরীরে প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা। কোনো কারণে হৃৎপিণ্ডের এই পাম্প করার কাজটি বাধাপ্রাপ্ত হলে ও রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হলে তাকে হার্ট ফেইলিয়র বলে। এ অবস্থায় বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন- পা ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ও অল্প পরিশ্রমে কান্ত হয়ে যাওয়া। ইকো-কার্ডিওগ্রাফির সাহায্যে হার্ট ফেইলিয়র সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। কি কারণে হার্ট ফেইলিয়র হয়েছে তা রক্ত পরীক্ষার সাহায্যে নির্ণয় করা সম্ভব। এর কারণ ও তীব্রতার উপর এ রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে। এটি কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিয়র (congestive heart failure), সংক্ষেপে সি-এইচ-এফ (CHF) বা কনজেসটিভ কার্ডিয়াক ফেইলিয়র (congestive cardiac failure), সংক্ষেপে (CCF) নামে পরিচিত।

কারণ

শারীরিক অসুস্থতার কারণে হার্ট দুর্বল হয়ে গেলে বা হার্টের কোনো ক্ষতি হলে হার্ট ফেইলিয়র হয়ে থাকে। এছাড়াও হৃৎপেশি শক্ত হয়ে গেলে হৃৎপিণ্ড যথাযথভাবে রক্ত পাম্প করতে পারে না। এই কারণে হার্ট ফেইলিয়র হয়ে থাকে।
হার্ট ফেইলিয়র হলে হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং চেম্বার বা ভেণ্ট্রিকলগুলো যথাযথভাবে কাজ করতে পারে না। আবার কোনো কারণে হৃৎপেশি দুর্বল হয়ে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্থ হলে হৃৎপিণ্ড থেকে পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয় এবং এর ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

চিকিৎসা

 চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:  
adrenalineamiloride hydrochloride
amlodipinebisoprolol
captoprilcarvedilol
digoxindobutamine hydrochloride
enalapril maleatefrusemide
glyceryl trinitratehydrochlorothiazide
indapamideisosorbide dinitrate
isosorbide mononitratelosartan potassium
metoprolol tartratenifedipine
ramiprilsodium nitroprusside
spironolactonevalsartan
warfarin sodium

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে সব কারণে হার্ট ফেইলিয়রের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলি হলো:  
  • উচ্চ রক্তচাপ।
  • করোনারি হার্ট ডিজিজ।
  • হার্ট অ্যাটাক।
  • ডায়বেটিস।
  • ভলভিউলার হার্ট ডিজিজ (Valvular heart disease‌)।
  • ভাইরাল ইনফেকশন।
  • মদ্যপান ও ধূমপান।
  • স্থূলতা।
  • অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন।
  • ডায়াবেটিসের জন্য ব্যবহৃত ঔষধ যেমন রসিগ্লিট্যাজোন (rosiglitazone)- এ্যাভান্ডিয়া (Avandia) এবং পায়োগ্লিটাজোন (pioglitazone)- এক্টোস (Actos) গ্রহণ করা। 
  • রাতে ঘুমানোর সময় দেহের অভ্যন্তরে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট ও হৃৎস্পন্দন অস্বাভাবিক হওয়া (Sleep apnea)।
  • জন্মগতভাবে হৃৎপিণ্ডে কোনো ত্রুটি থাকা (Congenital heart defects)। 

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ হার্ট ফেইলিয়র একটি গুরুতর ও ক্রনিক রোগ, যা ধীরে ধীরে আরো খারাপের দিকে যেতে থাকে। এমনকি এর কারণে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। তবে একবার হার্ট ফেইলিয়রের পর রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবস্থার অবনতি হওয়ার আগেও এর লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসে না। প্রায় কয়েক মাসের জন্য লক্ষণগুলি একই অবস্থায় থাকে। আবার কখনো কখনো এই লক্ষণগুলি খুব দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে এবং এ অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক, ফুসফুসে ইনফেকশন বা হৃৎস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত উপায়ে হার্ট ফেইলিয়রের ঝুঁকি কমানো সম্ভব:
  • খাবারে লবণ ও চিনির মাত্রা কমাতে হবে। প্রতিদিন ৬ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়।
  • স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণ ফলমূল ও শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার (যেমন-রুটি, ভাত, আলু ও শস্যদানা থেকে তৈরি পাস্তা), পরিমিত পরিমাণ দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার এবং মাংস, মাছ, ডিম ও দুগ্ধজাতীয় খাবার বাদে অন্যান্য প্রোটিনের উৎস থাকতে হবে।
  • দেহের ক্ষতি করে এমন চর্বিযুক্ত খাবার কম খেতে হবে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • RxHealer, eHealth, Health Care, Healthcare

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

What is dementia ? Signs, Symptoms, Causes, Tests, Treatment, Care

ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ (Intracerebral hemorrhage)