মায়োকার্ডাইটিস (Myocarditis)

মায়োকার্ডাইটিস (Myocarditis)


বর্ণনা

মায়োকার্ডিয়াম বা হৃৎপিণ্ডের দেয়ালের মধ্যবর্তী স্তরে ইনফ্লামেশন দেখা দিলে তাকে মায়োকার্ডাইটিস বলা হয়। সাধারণত এটি ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এ রোগের লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো হল- বুকে ব্যথা, হার্ট ফেইলিওর এবং অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন।
মায়োকার্ডাইটিস তীব্র পর্যায়ে পৌঁছালে হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং পদ্ধতি দূর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত সরবরাহ করতে পারে না। এছাড়াও হৃৎপিণ্ডে রক্ত জমাট বাঁধতে দেখা যায়, যার কারণে স্ট্রোক অথবা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
এই রোগের চিকিৎসা এর অন্তর্নিহিত কারণের উপর নির্ভর করে।

কারণ

বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে মায়োকার্ডাইটিস হতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে সকল ভাইরাসের কারণে শ্বাসতন্ত্রের উপরের অংশের ইনফেকশন হয় সেগুলো এ রোগ হওয়ার পিছনে বেশি দায়ী। এছাড়াও কখনো কখনো লাইম ডিজিজের মত কিছু সংক্রামক ডিজিজের কারণেও মায়োকার্ডাইটিস হতে পারে। কোকেইনের ব্যবহার অথবা কোন বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শ যেমন বিষাক্ত ধাতু বা মাকড়সার কামড় থেকেও এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যদিও তা খুব সচরাচর দেখা যায় না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মায়োকার্ডাইটিস সংক্রামক নয়। মায়োকার্ডাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্বারা তার পরিবারের সদস্যদের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন: 

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে সকল বিষয়ের কারণে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়ঃ
  •   ভাইরাসজনিত ইনফেকশনঃ কক্স্যাকি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, রুবেলা, পোলিও, অ্যাডিনো এবং এইচ-আই-ভি এর সাথে জড়িত।
  •   ব্যাক্টেরিয়াজনিত ইনফেকশন যেমন-করিনাব্যাক্টেরিয়াম, রিক্যাটসিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া এবং কক্সিয়েলা ব্যাক্টেরিয়ার কারণে যে সব ইনফেকশন হয়ে থাকে।
  •   রেডিয়েশন এবং বিষক্রিয়া।
  •   রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অস্বাভাবিক হলে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের এ রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ এবং অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা


উত্তরঃ মায়োকার্ডাইটিস তীব্র পর্যায় পৌঁছালে সেটা খুব দ্রুতও সেরে উঠতে পারে আবার এর থেকে মৃত্যুও হতে পারে। কখনো কখনো দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় এবং এক পর্যায়ে রোগী সুস্থ হয়ে উঠে। তবে ক্রনিক দশায় পৌঁছালে সেটা স্থায়ী হয়ে যায় এবং কখনো সেরে উঠেনা। 
                উত্তরঃ হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশীতে ভাইরাস জনিত ইনফেকশনের কারণে অ্যাকিউট মায়োকার্ডাইটিস হয়ে থাকে এবং এর ফলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এর থেকে সর্দি-জ্বরের মত লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। কখনো কখনো এমন জটিলতা সৃষ্টি হয় যার কারণে হৃদস্পন্দনে ব্যাঘাত দেখা দেয়। এই অবস্থা থেকে হঠাৎ করে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের পরে অ্যারিদমিয়া ঘটে থাকে, কিন্তু কখনো কখনো সময়ের আগেই জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে

হেলথ টিপস্‌

এই সমস্যা প্রতিরোধের কয়টি উপায় হলোঃ
  • ইনফেকশন যাতে না ছড়ায় সেজন্য পরিষ্কার পরিচ্ছনতা বজায় রাখতে হবে, যেমন- হাত ভালো করে পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • যৌন মিলনের সময় অবশ্যই কন্ডম ব্যবহার করতে হবে।
  • একের অধিক যৌনসঙ্গী থেকে বিরত থাকুন।
  • অবৈধ ঔষধ ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।
  • eHealth,Health,HealthCare, Health Care

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

What is dementia ? Signs, Symptoms, Causes, Tests, Treatment, Care

ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ (Intracerebral hemorrhage)