Syndrome of inappropriate secretion of ADH

সিন্ড্রোম অফ ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট সিক্রেশন অফ এ-ডি-এইচ (Syndrome of inappropriate secretion of ADH)


বর্ণনা

হাইপোথ্যালামাস অগ্র মস্তিষ্কের একটি অংশযা থ্যালামাসের ঠিক নিচে অবস্থিত এবং গ্রে ম্যাটার দ্বারা গঠিত। হাইপোথ্যালামাস হাইপোফাইসিয়াল ট্র্যাক্ট দ্বারা পিটুইটারি গ্রন্থি এর সাথে যুক্ত থাকার মাধ্যমে স্নায়ুতন্ত্র এর সাথে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি এর সংযোগ ঘটায়। হাইপোথ্যালামাস শ্বসনজনিত কিছু কাজ ছাড়াও স্বয়ংক্রিয় স্নায়ু কেন্দ্র এর কিছু কাজ করে। এটি হরমোন সৃষ্টি ও ক্ষরণ করেএসব হরমোনকে হাইপোথ্যালামিক হরমোন বা রিলিজিং হরমোন বলে।
হাইপোথ্যালামাস থেকেই অ্যান্টি ডাই-ইউরেটিক হরমোন সৃষ্টি হয়। এই হরমোন পিটুইটারী গ্রন্থিতে জমা হয় এবং সেখান থেকেই নিঃসরিত হয়। এই হরমোন নেফ্রনের ডিস্টাল বা প্রান্তীয় প্যাঁচানো নালিকা থেকে পানি শোষণ করে শরীরে পানির ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু কোন কারণে যদি এই হরমোন হাইপোথ্যালামাসে উৎপন্ন না হয়ে শরীরের অন্য কোন স্থানে উৎপন্ন হয় তবে এই সমস্যাকে সিন্ড্রোম অফ ইনঅ্যাপ্রপ্রিয়েট সিক্রেশন অফ এ-ডি-এইচ  বলে। এর কারণে দেহের পানির সমতা বজায় থাকে না এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইট যেমন- সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায়ের দিকে শরীরের মাংপেশীতে টান পরে এবং বমি বমি ভাব হয়। এটি মারাত্নক রূপ ধারন করলে রোগী দ্বিধা-দ্বন্দে ভোগে, খিঁচুনি হয় এবং শেষ পর্যন্ত কোমায় চলে যায়। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা, প্রধানত ক্যান্সারের কারণে এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। তবে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে সচরাচর এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।এই রোগের চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে পানি অল্প পরিমাণে পান করতে হবে। তবে কি কারণে এর রোগ হয়েছে তার উপর এর চিকিৎসা নির্ভর করে। এই রোগটি এক্টোপিক এ-ডি-এইচ সিক্রেশন নামেও পরিচিত। 

কারণ

এই রোগটি ক্যান্সার, প্রধানত ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্যই হয়ে থাকে। তবে মাথা বা ঘাড়ের টিউমার থেকেও এটি হতে পারে। এছাড়াও অন্য যেসব কারণে এই রোগ হতে পারে সেগুলো হলোঃ
  • হাইপোথ্যালামাসের কোন ধরনের সমস্যা।
  • এনকেফালাইটিস (মস্তিষ্কের প্রদাহ)
  • গুলেন বেরি সিন্ড্রোম(ইমিউন সিস্টেম ডিজঅর্ডার)
  • হার্ট ফেইলর
  • ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা
  • মেনিঞ্জাইটিস
  • মাথায় কোন ধরনের আঘাত পাওয়া। 

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন: 

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে সকল বিষয়ের কারণে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, সেগুলো হলোঃ
  • ক্যান্সারবিশেষত ফুসফুসের ক্যান্সার।
  • ব্রেইনের বিভিন্ন সমস্যা-মেনিঞ্জাইটিস, সেরেব্রাল অ্যাবসেস, হেড ইনজুরি, টিউমার।
  • ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা-নিউমোনিয়া, টিউবারকুলেসিস, ফুসফুসের অ্যাবসেস বা ফোড়া
  • মেটাবলিক-পরফাইরিয়া (হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা, যার কারণে হিমোগ্লোবিন কালো বর্ণ ধারণ করে), হঠাৎ করে মদ্যপান ছেড়ে দেওয়া।
  • বিভিন্ন ঔষধ গ্রহণ-অপিয়েটস, ক্লোরপ্রোপ্র্যামাইড, কার্বামাজেপিন, ভিনক্রিস্টিন। 

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ৩১ গুণ কম। হিস্পানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২৩ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি। 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ এ-ডি-এইচ এর নিঃসরণ মূলত প্লাজমা অসমোলালিটি এবং প্লাজমা ভলিউম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যদি এই হরমোন কোনো ধরনের মানসিক আঘাত বা পিটুইটারী টিউমারের কারণে নিঃসৃত না হয় বা যদি কিডনী এই হরমোনের প্রভাবে কাজ না করে তবে ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস বা নেফ্রোজেনিক ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস হয়ে থাকে। সাধারণত ইথানল এই হরমোন নিঃসরণে বাধা দেয়। এছাড়াও অ্যাট্রিয়াল নেট্রিইউরেটিক পেপটাইড (এ-এন-পি) এর কারণেও এই সমস্যা হতে পারে, তবে এর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম।

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

Fever

Raynaud's disease