হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি (Hepatic encephalopathy)

হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি (Hepatic encephalopathy)

বর্ণনা

হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি হলো মস্তিস্কের ব্যধি। লিভারে সমস্যা থাকার কারণে কিছু কিছু ব্যক্তির এ রোগ হয়ে থাকে। হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি হচ্ছে অনেক গুলো রোগের সমষ্টি এবং যার লক্ষন অনেক সময় প্রকাশ নাও পেতে পারে অথবা প্রকাশ পেলে সেটি জীবননাশী হতে পারে। মস্তিস্কের বিকৃতির কারণে এই রোগের লক্ষন গুলো দেখা দেয় এবং এই রোগের লক্ষন গুলো হলো ব্যক্তির আচার আচরনে পরিবর্তন, বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ না হওয়া, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। অ্যাকুইট অথবা ক্রনিক লিভার ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তির এই রোগ হয়ে থাকে। পোর্টসিসটিম্যাক শান্ট এর মাধ্যমে লিভার বাইপাস করালেও হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি হতে পারে। এই সমস্যা গুলো জন্মগত হতে পারে। যখন লিভারের মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বের হয়ে রক্তে জমাট বাঁধে এবং মস্তিস্কে পৌছে যায় তখন হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি দেখা দেয়। এই রোগের অধিকাংশ উপসর্গ গুলোকে চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব।

কারণ

হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির সঠিক কোনো কারণ জানা যায়নি। রক্ত প্রবাহের সাথে ক্ষতিকর উপাদান জমার কারণে এবং লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এই রোগ দেখা দেয়।                                                               
লিভার শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। যখন লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন এটি ক্ষতিকর পদার্থ ফিল্টার করতে পারে না। যখন কিডনী ক্ষতিকর পদার্থ গুলোকে বের করতে পরে না তখন এগুলো রক্ত প্রবাহের সাথে জমা হয়। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ এবং স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির কারণ গুলো নিচে দেওয়া হলো।
  • ইনফেশন
  • কিডনীর সমস্য
  • ডিহাইড্রেশন (পানি শুন্যতা)
  • শরীরে অক্সিজেনের অভাব
  • সাম্প্রতি অপারেশন করালে
  • ইমিউন সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এমন ঔষধের ব্যবহার
  • অতিমাত্রায় প্রোটিন খেলে
  • বার্বিটুরেট অথবা বেনজোডিয়াজেফিন ট্রানকুইলিজার জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করলে যার কারণে কেন্দ্রিয় স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হ

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

        এই রোগের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় গুলো নিচে বর্ননা করা হলো।
       নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা যেমনঃ হাইপোনাট্রিমিয়া অথবা হাইপোক্যালিমিয়া যার কারণে শরীরের তরলের মাত্রাকে প্রভাবিত করে
  •         কিডনী ফেইলর
  •         গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্লিডিং
  •         সিডেটিভস্ এবং অ্যান্টি- ইপিলেপটিকসের ব্যবহার
  •         কোষ্ঠকাঠিন্য
  •         সিরোসিস
  •         হেপাটাইটিস (ইনফেকশাস অথবা অটোইমিউন)                    

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।  
জাতিঃ শেতাঙ্গ এবং হিসপানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গ এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।  

সাধারণ জিজ্ঞাসা

 
উত্তরঃ অ্যালকোহল/মদ পান করার কারণে লিভার ক্ষতিগ্র
স্থ হয়। হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি হচ্ছে লিভার ফেইলর রোগের একটি মারাত্মক উপসর্গ এবং জরুরী ভিত্তিতে এটির চিকিৎসা প্রয়োজন। মদ পান করার ফলে হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির তীব্রতা বেড়ে যায় এবং যার কারণে ডিকমপেনসেটেড লিভার ফেইলর দেখা দেয়। এর ফলে অবশেষে রোগীর মৃত্যু ঘটে।
উত্তরঃ এই রোগের উপসর্গ গুলোকে ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। সাধারনত ল্যাকটুলস অথবা রিফাক্সিমাইন ব্যবহার করা হয়। লিভার ফেইলর মারাত্মক আকার ধারন করলে ঔষধ ব্যবহার করে এই রোগ নিরাময় করা যায় না। যার ফলে এনসেফালোপ্যাথি হেপাটিক কমাতে পরিনত হয়। এই অবস্থায় লিভার প্রতিস্থাপন না করলে লিভার ফেইলর মারাত্মক আকার ধারন করে এবং এই কারণে রোগী মারা যায়।
উত্তরঃ অ্যালকোহল/মদ পান করার কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি হচ্ছে লিভার ফেইলর রোগের একটি মারাত্মক উপসর্গ এবং জরুরী ভিত্তিতে এটির চিকিৎসা প্রয়োজন। মদ পান করার ফলে হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির তীব্রতা বেড়ে যায় এবং যার কারণে ডিকমপেনসেটেড লিভার ফেইলর দেখা দেয়। এর ফলে অবশেষে রোগীর মৃত্যু ঘটে।
উত্তরঃ অ্যালকোহল/মদ পান করার কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি হচ্ছে লিভার ফেইলর রোগের একটি মারাত্মক উপসর্গ এবং জরুরী ভিত্তিতে এটির চিকিৎসা প্রয়োজন। মদ পান করার ফলে হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির তীব্রতা বেড়ে যায় এবং যার কারণে ডিকমপেনসেটেড লিভার ফেইলর দেখা দেয়। এর ফলে অবশেষে রোগীর মৃত্যু হয়।
উত্তরঃ এই রোগের উপসর্গগুলোকে ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। সাধারনত ল্যাকটুলস অথবা রিফাক্সিমিন ব্যবহার করা হয়। লিভার ফেইলর মারাত্মক আকার ধারন করলে ঔষধ ব্যবহার করে এই রোগ নিরাময় করা যায় না। এই অবস্থায় লিভার প্রতিস্থাপন না করলে লিভার ফেইলর মারাত্মক আকার ধারন করে এবং এই কারণে রোগী মারা যায়। 

হেলথ টিপস্‌

লিভারের সমস্যা প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রন করার মাধ্যমে হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিন্মলিখিত পদ্ধতি অনুসরনের মাধ্যমে এই সমস্যাটি প্রতিরোধ করা যায়।
  • মদ্য পান পরিহার করতে হবে।
  • ফ্যাট/চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
  • অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে।
  • ড্রাগের ব্যবহার পরিহার করতে হবে এবং ইনজেকশনের সময় একই সুচ বারবার ব্যবহার করা উচিত নয়।
এই রোগ প্রতিরোধের অন্যান্য ব্যবস্থাগুলো হলো নিন্মরূপ।
  • ঘনঘন হাত ধোঁয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • ভাইরাল হেপাটাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দুরে থাকতে হবে।
  • eHealth,Health,HealthCare, Health Care

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

Fever

Raynaud's disease