Vulvar cancer (যোনিদ্বারের ক্যান্সার)

যোনিদ্বারের ক্যান্সার (Vulvar cancer)


বর্ণনা

যোনিদ্বার বা যোনিমুখ (Vulva) স্ত্রী বহিঃযৌনাঙ্গের একটি অংশ। এই মাংশল অংশ যোনি ও ইরেথ্রাকে ঢেকে রাখে। কপাটের মত মাংসল ভাঁজটিকে বলা হয় লেবিয়া এবং লেবিয়ার একেবারে উপরে জোড়ার কাছে যে উঁচু মাংসপিণ্ড দেখা যায় তাকে ক্লাইটোরিস বলে। বহিঃযৌনাঙ্গের এই অংশে যে ক্যান্সার হয় তাকে Vulvar cancer বা যোনিদ্বারের ক্যান্সার বলা হয়। এই ক্যান্সার হলে যোনিমুখে পিণ্ড বা ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং একই সাথে চুলকানি হয়। যদিও এটি যে কোনো বয়সে হতে পারে, তবে বয়স্ক মহিলাদের এটি বেশি হয়ে থাকে। অপারেশনের সাহায্যে ক্যান্সার আক্রান্ত অংশ ও এর আশেপাশের টিস্যুগুলো অপসারণের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। আবার কখনও কখনও পুরো যোনিদ্বারটিই অপসারণ করতে হয়। তবে প্রথম দিকেই এই ক্যান্সার ধরা পড়লে যোনিদ্বার অপসারণ করতে হয় না। সাধারণ সার্জারির সাহায্যেই সেক্ষেত্রে এর চিকিৎসা সম্ভব। যে ধরনের Vulvar cancer বেশি হয়ে থাকে সেগুলো হলোঃ
  • ভাল্ভার স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা (Vulvar squamous cell carinoma) : যোনিদ্বারের উপরের অংশে অবস্থিত পাত ও মসৃণ কোষগুলোতে এই ক্যান্সার হয়ে থাকে। অধিকাংশ যোনিদ্বারের ক্যান্সার হলো ভাল্ভার স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা।
  • ভাল্ভার মেলানোমা (Vulvar melanma) : যোনিদ্বারের যে কোষগুলো রঞ্জক পদার্থ উৎপাদন করে থাকে (pigment-producing cells) সে কোষগুলোতে এই ক্যান্সার হয়ে থাকে।

কারণ

ঠিক কি কারণে Vulvar cancer হয়ে থাকে তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে ধারণা করা হয় কোষের DNA তে কোনো পরিবর্তন আসলে এই ক্যান্সার হয়। DNA এর এই পরিবর্তনের জন্য খুব দ্রুত কোষ বিভাজিত হয় ও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে কোষের সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায় ও টিউমার গঠন করে। এই টিউমার থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে যা আশেপাশের টিস্যু ও শরীরের অন্যান্য অংশের ক্ষতি করে থাকে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যোনিদ্বারে ক্যান্সার হওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
  • বয়স বাড়ার সাথে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। সাধারণত ৬৫ বছর বয়সের দিকে মহিলাদের এই ক্যান্সার বেশি হয়ে থাকে।
  • হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (human papillomavirus) সংস্পর্শে আসলে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। সংক্ষেপে এই ভাইরাসকে বলা হয় এইচ-পি-ভি (HPV)। এই ভাইরাস যৌন মিলনের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এই ভাইরাস দ্বারা যোনিদ্বারের ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সার হতে পারে। সাধারণত যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হলে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্যা এমনিতেই সেরে যায়। তবে কখনও কখনও এই ভাইরাসের দ্বারা কোষের পরিবর্তন ঘটে ও ভবিষ্যতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • ধূমপানের কারণে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • HIV ভাইরাসের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে HPV ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় ও একই সাথে যোনিদ্বারে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
  • যোনিদ্বারের ত্বকে কোনো সমস্যা বা চর্মরোগ থাকলে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যেমন- লিচেন স্ক্লেরোসাসের (Lichen sclerosus) কারণে ত্বকে চুলকানি হয় ও ত্বক পাতলা হয়ে যায়। যার ফলে যোনিদ্বারে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। হিস্প্যানিক ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ৩৯ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ অপারেশনের সাহায্যে অথবা রেডিয়েশন বা কেমোথেরাপির সাহায্যে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। আবার কখনও কখনও অপারেশন ও রেডিয়েশন থেরাপি দু'টির সাহায্যেই ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে কোন পদ্ধতির সাহায্যে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করা হবে তা নির্ভর করে ক্যান্সারের অবস্থান ও পর্যায়ের উপর। 

হেলথ টিপস্‌

যোনিদ্বারের ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য সর্বপ্রথম যৌন রোগ ও যৌন ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে হবে। নিম্নলিখিত উপায়ে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব:
  • যৌনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।
  • প্রত্যেক বার যৌনসঙ্গমের সময় কনডম ব্যবহার করতে হবে।
  • HPV প্রতিরোধের জন্য প্রতিষেধক নিতে হবে।
  • eHealth Care

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

What is dementia ? Signs, Symptoms, Causes, Tests, Treatment, Care

ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ (Intracerebral hemorrhage)