ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ (Intracranial hemorrhage)

ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ (Intracranial hemorrhage)



বর্ণনা

ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ হলো এমন একটি অবস্থা যার কারণে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে। তবে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ নিরাময় করা সম্ভব। এটি একটি সাধারন রোগ। শরীরের অভ্যন্তরিন রক্তনালীর ত্রুটিপূর্ণ গঠন, আঘাত এবং থেরাপিউটিক অ্যান্টিকোয়াগুলেশনের কারণে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার প্রধান উদ্দেশ্য হলো এই রোগের সম্ভাব্য কারণ নির্নয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন এবং কোঅ্যাগুলোপ্যাথি ব্যবহার করে হেমোরেজ (রক্তক্ষরণ) বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় গুলো নিয়ন্ত্রন। দূর্ঘটনার কারণে স্নায়ু যদি ক্ষতিগ্রস্থ বা আঘাত প্রাপ্ত হয় তাহলে কমপিউটেড টমোগ্রাফি এই সমস্যার তীব্রতা নির্নয় করতে পারে। স্নায়ুর এই ধরনের সমস্যার সাথে মায়োকার্ডিয়াল স্ক্যানিং এবং পালমোনারি এডিমা সম্পর্কযুক্ত যার সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। এইক্ষেত্রে জ্বর খুবই সাধারন একটি বিষয় যা চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। যদিও এই রোগের ক্ষেত্রে থেরাপিউটিক কুলিং তেমন একটা সন্তোষজনক ফলাফল দেয় না। চিকিৎসা পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যেই রোগী শরীরিক বা মানসিকভাবে সুস্থ হতে শুরু করে।                                                                                                                                                                                                                                                                                                                            

কারণ

বিভিন্ন কারণে ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ দেখা দিতে পারে। এই রোগের কারণগুলো নিম্নরূপ।
  • সড়ক দূর্ঘটনার কারণে বা খেলাধুলা করার সময় মাথায় আঘাত লাগলে ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ দেখা দেয়।
  • হাইপারটেনশনের ফলে রক্ত নালীর গাত্র/প্রাচীর গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলে রক্ত নালীতে ছিদ্র দেখা দেয় বা রক্ত নালী ছিড়ে যায়।
  • মস্তিষ্ক বা শরীরের অন্যান্য স্থানের জমাট বাধা রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কের আর্টারি (ধমনী) বন্ধ হয়ে গেলে এই রোগটি দেখা দেয়।
  • রাপচার্ড সেরিব্রাল অ্যানিউরিজম (এটির কারণে রক্ত নালীর গাত্রে পাতলা দাগ দেখা যায় যা ফুলে ওঠে এবং ফেটে যায়)।
  • মস্তিষ্কের আর্টারির (ধমনী) গাত্র গুলোতে অ্যামোলইড প্রোটিন জমা হওয়ার কারণে এই সমস্যাটি দেখা দেয়।
  • ত্রুটিপূর্ন আর্টারি বা শিরাগুলোতে ছিদ্র দেখা দেওয়ার ফলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  • অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট থেরাপি গ্রহন করলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  • ব্লিডিং টিউমার।
  • ধুমপান, অতিমাত্রায় মদ্যপান এবং নিষিদ্ধ ঔষধ যেমনঃ কোকেন গ্রহন করলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 
  • গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের শরীরিক সমস্যা যেমনঃ অ্যাকলেম্পসিয়া, পোস্টপার্টাম ভাসকুলোপ্যাথি অথবা নিউনেটাল ইন্ট্রাভেনট্রিকুলার হেমোরেজের কারণে ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ হয়ে থাকে।  

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন: 

চিকিৎসা



amantadine hydrochloridedonepezil hydrochloride
fosphenytoin sodiummannitol
nimodipinepancuronium bromide
phenytointetanus toxoid

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ মাথায় আঘাত লাগার কারণে হয়ে থাকে।
এই রোগের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় গুলো নিচে দেওয়া হলো।
  • পরিবারে কারো এই রোগ থাকলে
  • মধ্যপান
  • হাইপারটেনশন
  • ধুমপান
  • অ্যামফেটামিনস এবং এমডিএমএ

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। 
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। 

সাধারণ জিজ্ঞাসা



উত্তরঃ গর্ভকালীন সময় শেষ হওয়ার ৩০ সপ্তাহ পূর্বেই যদি নবজাতক জন্ম গ্রহন করে তাহলে এই সমস্ত নবজাতকদের ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ হওয়ার ঝুকি বেশি থাকে। ছোট আকারের এবং অপরিপক্ক নবজাতকদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অপরিপক্ক নবজাতকদের মস্তিষ্কের রক্তনালী গুলো সম্পূর্ন ভাবে গঠিত হয় না এবং এই রক্তনালী গুলো খুবই দুর্বল প্রকৃতির হয়ে থাকে। যার কারণে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। গর্ভাবস্থার ৩০ সপ্তাহ পর থেকে নবজাতকের রক্তনালী গুলো গঠিত হয়।                                                                                                                                                                  

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

What is dementia ? Signs, Symptoms, Causes, Tests, Treatment, Care

ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ (Intracerebral hemorrhage)