Fluid overload - ফ্লুইড ওভারলোড

ফ্লুইড ওভারলোড (Fluid overload)


বর্ণনা

রোগটি হাইপারভোলেমিয়া নামেও পরিচিত।
তরলের পরিমাণ মাত্রাধিক বেড়ে যাওয়াকে ফ্লুইড ওভারলোড বলে। শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ ও এজন্য কোষের বাহ্যিক অংশে পানির পরিমাণ বেড়ে গেলে সংবহনতন্ত্রের প্রকোষ্ঠে তরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। শরীরে সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দিলে এই রোগ হয়ে থাকে। কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিওর, কিডনি ফেইলিওর এবং লিভার ফেইলিওরের মতো সমস্যার কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এছাড়া খাদ্য, ইন্ট্রাভেনাস সল্যুশন, রক্ত নেওয়া, ডায়াগনস্টিক কনট্রাস্ট ডাইস ও ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরে প্রবেশ করলেও ফ্লুইড ওভারলোড হতে পারে। ডিউরেটিক্সের (যে সব পদার্থ মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে) উপর নিয়ন্ত্রণ এবং পানি, সোডিয়াম, লবণ ও অন্যান্য তরল পদার্থ কম পরিমাণ গ্রহণ করার মাধ্যমে ফ্লুইড ওভারলোডের চিকিৎসা করা যায়।

কারণ

সাধারণত নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্য ফ্লুইড ওভারলোড হয়ে থাকে:
অতিরিক্ত সোডিয়াম ও তরল গ্রহণ-
  •  সোডিয়ামযুক্ত IV থেরাপি।
  • দ্রুত রক্ত সঞ্চালনের প্রতিক্রিয়া।
  • অধিক মাত্রায় সোডিয়াম গ্রহণ।
সোডিয়াম ও পানি জমে থাকা- 
  • হার্ট ফেইলিওর
  • লিভার সিরোসিস (Liver cirrhosis)
  • নেফরোটিক সিনড্রোম
  • কর্টিকস্টেরয়েড থেরাপি (Corticosteroid therapy)
  • হাইপারআলডোসটেরোনিজম (Hyperaldosteronism)
  • কম পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ
সংবহনতন্ত্র থেকে তরল অপসারিত হওয়া:
  • পুড়ে যাওয়ার চিকিৎসা করার পর তরল জমা হওয়া।
  • ম্যানিটল বা হাইপারটনিক ইনজেকশন গ্রহণ।
  • প্লাজমা প্রোটিন গ্রহণ, যেমন- অ্যালবুমিন।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি ফ্লুইড ওভারলোডের ঝুকিঁ বৃদ্ধি করে-
  • অতিরিক্ত মাত্রায় তরল গ্রহণ।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় সোডিয়াম গ্রহণ।
  • কিডনির সমস্যা বা কিডনি ফেইলিওর।
  • স্টেরয়েড থেরাপি।
  • হৃৎপিণ্ড থেকে কম রক্ত নির্গত হওয়া, অ্যাকিউট বা ক্রনিক হার্ট ডিজিজ।
  • মাথায় আঘাত লাগা।
  • লিভারের রোগ।
  • অত্যাধিক ক্লান্তি।
  • হরমোনের সমস্যা।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করে ফ্লুইড ওভারলোড কমানো সম্ভব-
  • শারীরিক পরিশ্রমঃ শরীর নড়াচড়া করলে, বিশেষ করে শরীরে যে অংশে তরল জমা হয় সেই অংশ নড়াচড়া করলে জমে থাকা অতিরিক্ত তরল হৃৎপিণ্ডের দিকে চলে যায়। তাই ফ্লুইড ওভারলোড হলে দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট যে কোনো ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করুন। এছাড়া এ সময় এক টানা ৩০ মিনিটের বেশি বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা উচিৎ নয়। মাঝে মাঝে পানি পান করুন এবং হাটাচলা করুন।
  • তরল জমে থাকা অংশ উঁচু করে রাখাঃ শরীরের যে অংশে তরল জমেছে সেটি প্রতি বার ৩০ মিনিট করে দিনে ৩-৪ বার হৃৎপিণ্ডের সমতলের উপরে রাখলে কিছুটা তরল হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে। উদাহরণস্বরূপ, পায়ে তরল জমা হলে টিভি দেখা বা ঘুমানোর সময় পায়ের নিচে ভাঁজ করা তোয়ালে বা বালিশ রাখা যেতে পারে।
  • শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রার বেশি পরিবর্তন ঘটলে ফোলা অংশের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তাই শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন
  • মোজা, হাত মোজা ও হাতাযুক্ত পোশাক ব্যবহারঃ এগুলি ব্যবহার করার মাধ্যমে শরীরের তরল জমা অংশে চাপ প্রয়োগ করা যেতে পারে।
  • হৃৎপিণ্ডের দিকে চাপ প্রয়োগঃ তরল জমা অংশের উপর চাপ প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই চাপ হৃৎপিণ্ডের দিকে দিতে হবে। এছাড়া গোসল করার পূর্বে নরম ব্রাশ বা শক্ত কাপড় দিয়ে উক্ত স্থান ঘষা যেতে পারে। পা থেকে ঘষা শুরু করে ক্রমশ হৃৎপিণ্ডের দিকে এগোতে হবে।
  • eHealth,Health,HealthCare, Health Care

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

What is dementia ? Signs, Symptoms, Causes, Tests, Treatment, Care

ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ (Intracerebral hemorrhage)