Folate deficiency- ফোলেট ডেফিসিয়েন্সি

ফোলেট ডেফিসিয়েন্সি (Folate deficiency)


বর্ণনা

ফলিক অ্যাসিড বা ফোলেট ভিটামিন বি-এর একটি প্রকার। এটি ডি-এন-এ তৈরি ও পুনর্গঠন এবং লোহিত রক্ত কণিকা উৎপন্ন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
গ্রহণকৃত খাদ্যে ফলিক এসিডের পরিমাণ কম থাকলে শরীরে এর অভাব দেখা দিতে পারে। লেবু, সবুজ শাক-সবজি ও অন্যান্য কিছু খাদ্যে ফলিক অ্যাসিড বেশি পরিমাণে থাকে। যথেষ্ট পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করা না হলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শরীরে এ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এছাড়া যেসব রোগ হলে শরীরের ফলিক অ্যাসিড শোষণ বাধাগ্রস্থ হয়, সেগুলির ফলেও ফোলেটের অভাব হতে পারে।  
ফলিক অ্যাসিডের অভাবের ফলে অ্যানিমিয়া হতে পারে। অ্যানিমিয়া হলে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ কমে যায়। যেহেতু লোহিত রক্ত কণিকা অক্সিজেন বহন করে, তাই অ্যানিমিয়ার ফলে টিস্যু প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। এ জন্য টিস্যুর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।  
প্রজননক্ষম মহিলাদের জন্য ফলিক অ্যাসিড বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। গর্ভাবস্থায় কোনো মহিলার ফলিক অ্যাসিডের অভাব হলে তার গর্ভের শিশুর জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি হতে পারে। খাদ্যের মাধ্যমেই যথেষ্ট পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড পাওয়া সম্ভব। তবে বর্তমানে এর ঘাটতি রোধ করতে বিভিন্ন খাদ্যে বাড়তি ফলিক অ্যাসিড যোগ করা হয়ে থাকে। যেসব মহিলার গর্ভধারণের সম্ভাবনা রয়েছে, তারা ফলিক অ্যাসিডের সাপ্লিমেন্ট (ঔষধ হিসেবে) গ্রহণ করতে পারে।  

কারণ

সাধারণত নিম্নলিখিত কারণে ফোলেটের অভাব হয়ে থাকে-
১. নিম্নলিখিত কারণে অপর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ:
  •  তাজা ও কম সিদ্ধ খাবার অপর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ।
  • মাদকাসক্তি (ক্রনিক)।
  • দীর্ঘ সময় ধরে শিরায় স্যালাইন নেওয়া (পুষ্টি গ্রহণের জন্য)।
২. নিম্নলিখিত কারণে অপর্যাপ্ত মাত্রায় ফলিক অ্যাসিড শোষণ:
  • ম্যালঅ্যাবজর্পশন সিনড্রোম (Malabsorption syndromes), যেমন- সিলিয়াক ডিজিজ (celiac disease)।
  • ইনফ্লামেটরী বাওয়েল ডিজিজ (Inflammatory bowel disease)।
  • ঔষধের অন্তঃপ্রতিক্রিয়া, যেমন- অ্যান্টিকনভালস্যান্ট মেডিসিন (anticonvulsant medicine) ও ওরাল কনট্রাসেপটিভ (oral contraceptive)।
  • ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি।
৩. নিম্নলিখিত কারণে ফলিক অ্যাসিডের প্রয়োজন বৃদ্ধি:
  • গর্ভধারণ।
  • স্তন্যদান।
  • শৈশব।
  • ম্যালিগন্যান্সি, যেমন- ক্যান্সার।
৪. হেমোডায়ালায়সিসের (hemodialysis) কারণে ফলিক অ্যাসিডের অভাব বৃদ্ধি পাওয়া।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি ফলিক অ্যাসিডের অভাব হওয়ার ঝুকিঁ বৃদ্ধি করে-
  • গর্ভধারণ।
  • স্তন্যদান।
  • ম্যালিগন্যানন্সি (Malignancy)।
  • লিভারের রোগ।
  • অ্যালকোহল গ্রহণ।
  • ক্রনিক হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া।
  • কিডনি ডায়লাইসিস ট্রিটমেন্ট।
  • সিলিয়াক ডিজিজ (Celiac disease) বা অন্যান্য ম্যালঅবজার্পশন ডিজঅর্ডার।
  • কিছু কিছু ঔষধের প্রয়োগ যেমন- অ্যান্টিকনভালসেন্ট এবং ওরাল কনট্রাসেপটিভ।
  • রক্তে হিমোসিসটিনের মাত্রা বৃদ্ধি।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। নারীদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।
জাতিঃ হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যেএই রোগ নির্ণয় হওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা



উত্তরঃ ফোলেটের অভাব ভ্রুণের মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডের স্বাভাবিক বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে। 

হেলথ টিপস্‌

সুষম ও ফলিক অ্যাসিড পূর্ণ খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে ফলিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রো গ্রাম ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করা উচিৎ। যথেষ্ট পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড পেতে নিম্নলিখিত খাদ্যগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে-
  • ফর্টিফাইড (বাড়তি পুষ্টি উপাদানযুক্ত) খাদ্যশস্য।
  • শুকনা বিন ও শিম।
  • পোলট্রি মুরগী ও লিভার।
  • বিভিন্ন প্রকার তাজা ফল ও শাকসবজি।
  • eHealth,Health,HealthCare, Health Care

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

Fever

Raynaud's disease