অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া (Aplastic anemia)

অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া (Aplastic anemia)


বর্ণনা

অস্থিমজ্জা ও রক্তের মাতৃকোষ (স্টেম সেল) যখন নষ্ট হয়ে যায় বা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। এর কারণে প্যান্সাইটোপেনিয়া (সকল রক্তকণিকার অভাব) হতে পারে। লোহিত কণিকার অভাব হলে তাকে অ্যানিমিয়া, শ্বেত কণিকার অভাব হলে তাকে লিউকোপেনিয়া এবং অণুচক্রিকার অভাব হলে তাকে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া বলে। অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ার কারণে মাতৃকোষ নতুন রক্ত কোষ উৎপন্ন করতে পারে না। এই সমস্যাটি সাধারণত তের থেকে বিশ বছর বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এর চিকিৎসা মেডিকেশন, ব্লাড ট্রান্সফিউশন বা মাতৃকোষ ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে করা হয়।
 

কারণ

এই রোগ হওয়ার সঠিক কারণ এখনও অজানা। তবে কিছু কিছু কারণে এটি হতে পারে। সেগুলো হলোঃ
  • ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য উচ্চ-মাত্রার কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের ব্যবহার।
  • কেমিক্যালের (বেনজিন) ব্যবহার।
  • নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ গ্রহণ।
  • ভাইরাস।
  • ইমিউন ডিজিজ।
  • প্রেগনেন্সি বা গর্ভাবস্থা।
  • ভেজাল ঔষধ ব্যবহার।
  • ইনসেকটিসাইড, পেসটিসাইড বা কীটনাশক ব্যবহার।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও ফ্যানকনি অ্যানিমিয়া হতে পারে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন: 

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে সকল বিষয়ের কারণে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় সেগুলো হলোঃ
  • ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য উচ্চ মাত্রার রেডিয়েশন বা কেমোথেরাপি ব্যবহার।
  • বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে থাকা।
  • ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের জন্য ক্লোরামফেনিকল এবং রিম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের জন্য গোল্ড কম্পাউন্ডের ব্যবহার।
  • নির্দিষ্ট কিছু ব্লাড ডিজিজ, অটোইমিউন ডিজঅর্ডার এবং ইনফেকশন।
  • কোনো কোনো ক্ষেত্রে, গর্ভাবস্থা এর জন্য দ্বায়ী যা খুবই বিরল। 

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ ইমিউনোসাপ্রেসিভ মেডিকেশনের সাহায্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগ ভাল হয়ে যায়। কম বয়সীদের ক্ষেত্রে বোন মেরো ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে এই রোগ সম্পূর্ণভাবে ভাল করা সম্ভব। 

হেলথ টিপস্‌

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিম্নলিখিত উপায়ে নিজেদের খেয়াল রাখতে পারে:
  • এই রোগের কারণে শ্বাসকষ্ট হয় ও ক্লান্তিবোধ হয়। তাই এই অবস্থায় পরিমিত বিশ্রাম নিতে হবে।
  • আঘাত লাগে এমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ইনফেকশন যেন না হয় সেজন্য অসুস্থ ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • eHealth,Health,HealthCare, Health Care

Popular posts from this blog

Anxiety and panic attacks

What is dementia ? Signs, Symptoms, Causes, Tests, Treatment, Care

ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ (Intracerebral hemorrhage)